ইভ টিজিং এর মতো নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সমাজের প্রত্যেকটা মানুষের দায়িত্ব রয়েছে। এছাড়াও পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব রয়েছে। সমাজের সবাই এগিয়ে আসলে ইভ টিজিং প্রতিরোধ করা সম্ভব। ইভ টিজিং এর মূল বিষয় হলো নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। নারীকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে হবে, তাহলেই কেবল এই ধরনের অপরাধ দূর করা সম্ভব। জেনে রাখুন ইভ টিজিং প্রতিরোধে পরিবার এবং সমাজের কি ধরনের দায়ীত্ব রয়েছে -
পারিবারিক দায়িত্ব :
১) পারিবারিকভাবে শিশুকাল থেকে নারী-পুরুষ সম্পর্ক পরিষ্কারভাবে ছেলে-মেয়েদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে।
২) পরিবারে নারী সদস্যদের প্রতি পুরুষ সদস্যদের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে, অশ্লীল কথা না বলা, গালি-গালাজ না করা উচিত।
৩) টিজ করা সমাজ ও আইনের চোখে খারাপ কাজ। এ বিষয়ে সন্তানদের বিশেষ করে ছেলে সদস্যদের অবগত করানো এবং মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা।
৪) পরিবারের সকল সদস্য বিশেষ করে ছেলে-মেয়েদের বই পড়া, কবিতা পড়া, খেলাধূলার সাথে সম্পৃক্ত করা, ছবি আঁকা ইতাদি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত করার পরিবেশ তৈরি করা।
সামাজিক কর্তব্য :
১) ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
২) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ক্লাসরুমে ইভটিজিং সম্পর্কে আলোচনা করা এবং নেতিবাচক বিষয় তুলে ধরা।
৩) গণমাধ্যমে ইভটিজিং উৎসাহিত হয় এ ধরনের বক্তব্য, বিজ্ঞাপন কঠোরভাবে প্রচার না করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৪) সামাজিকভাবে কোথায় কোন ঘটনা ঘটলে ভিকটিমের পাশে সকল সামাজিক- সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে দাঁড়ানো এবং মানসিক ও অন্যান্য সাহস জোগানো।
৫) আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সচেতন ও কার্যকর করা।
৬) সামাজিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৭) স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ইভটিজিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা।
হেল্প লাইন নাম্বারঃ
নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি হেল্পলাইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ১০৯২১ নাম্বারটিতে ফোন করে ইভ টিজিং সংক্রান্ত অভিযোগ করা যায়। এই ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার ২৪ ঘন্টার জন্য কার্যকর থাকে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS